হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি সরকার শনিবার আরও চার যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, মোহাম্মদ আলী আল-শেকাক, মানসুর সামির আল-হায়েক, মারজুক মুহাম্মদ জাইফ আল-ফজল এবং রাদ মুহাম্মদ জাইফ আল-ফজল, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের সংখ্যা একশত বিশটিতে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চার যুবক যুক্ত হওয়ার পর সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় থাকা বন্দীর সংখ্যা তেষট্টির বেশি হয়েছে।
বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ৩১শে অক্টোবর বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক হাজারতম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ইউরোপভিত্তিক একটি আরব মানবাধিকার সংস্থা বলছে, সৌদি সরকার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে স্বচ্ছভাবে কাজ করছে না এবং পরিবারগুলোকে কোনো ধরনের আইনি ও নাগরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
উল্লিখিত সংস্থাটি বলছে, সৌদি আরবে চারশো ছিয়ান্ন জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যার মধ্যে বিচারকের ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে পঁচিশ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবে বিচার সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় না এবং অনেক বন্দী বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হয়।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান বিন আবদুল আজিজের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে বারোজন শিশু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যদিও সৌদি আইন অনুসারে, যারা শিশু হিসাবে অপরাধ করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না।
সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সৌদি কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মৃতদেহ তাদের উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তর করে না ।